ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
জরুরী ভিত্তিতে যারা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে চান এবং খুব সামান্য পরিমাণ যাদের তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে তাদের সাত দিনের ভেতরে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন হয়ে যাবে বলে এমনটাই তথ্য প্রদান করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু অনেক সময় আমাদের জরুরি প্রয়োজনে আবেদন করে থাকার পরও যখন সময়ের ভেতরে এটা সংশোধন করে না থাকে অথবা আবেদনপত্র কর্তৃপক্ষ যখন গ্রহণ করে না থাকে তখন আমরা হয়তো অনেকটাই চিন্তিত হয়ে থাকি। তাই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় গ্রহণ করা হলে আপনাদের কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা এই পোস্টে আলোচনা করব যাতে অনেকেই এখান থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারেন।
দৈনন্দিন জীবনে ভোটার আইডি কার্ড আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগে এবং ভোটাধিকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য অথবা বিভিন্ন ধরনের অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য প্রদান করতে হয়।
কিন্তু আপনার কাছে যদি মনে হয় ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল রয়েছে এবং এই তথ্য সংশোধন করা প্রয়োজন তাহলে আপনারা দেরি না করে অনলাইন এর মাধ্যমে তথ্য সংশোধন করে নিতে পারেন।জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে সাত দিন সময় এবং সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫ দিন সময় অথবা ২১ দিন সময় গ্রহণ করা হবে বলে এমনটাই জানানো হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ থেকে।
সাধারণত আমরা বাঙালি হিসেবে যেকোনো কাজ প্রয়োজনে সময় অনুযায়ী করি না বলে পরবর্তীতে এগুলো তাড়াহুড়া করি এবং আমাদের কাজগুলো সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে আমরা অনেক চিন্তিত হয়ে থাকি। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাকে সর্ব প্রথমে যাচাই করতে হবে আপনার হাতে যে এনআইডি কার্ড প্রদান করা হলো সেটার সঙ্গে আপনার সকল ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ এর তথ্যগত মিল রয়েছে কিনা।
এক্ষেত্রে যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে তাহলে সেটার ভিত্তিতেও আপনারা সঠিক তথ্য মিলিয়ে দেখবেন। দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্টস তৈরিতে অথবা দেশের ভেতরে বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজকর্ম শেষ করতে আপনারা যখন দেখবেন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল রয়েছে তখন এটা আপনাদের সব সংশোধন করার জন্য তাড়াহুড়ার সৃষ্টি করবে।
সাধারণত অন্যান্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে আবেদন পত্রের বর্তমান অবস্থা যাচাই করার কোনো সুযোগ নেই। তাই জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে ৫৭৫ টাকা দিয়ে আবেদন করেছেন এমন সকল ব্যক্তির ৭ দিনের ভেতরে এটা সংশোধন করতে পারবেন বলে আশ্বাস পেয়ে থাকলে অনেক সময় তা হয়ে থাকে না। কারণ আপনার মত অনেক গ্রাহক আবেদন পত্র জমা দিয়ে বসে আছে এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের যে সকল কর্মকর্তা সকল দায়িত্বে রয়েছে তারা হয়তো কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারছে না বলে কাজগুলো পেন্ডিং অবস্থায় পড়ে থাকে।
তাই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে সাত দিনের কথা বলা হয়ে থাকলেও আপনাদের এক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজগুলো করতে হবে এবং সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে একমাস সময় হাতে নিয়েই কাজগুলো করতে হবে। যদি আপনার আবেদনপত্র অনুযায়ী সংশোধন করা খুব জরুরী হয়ে পড়ে তাহলে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করে
আপনাদের বিভাগ অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের যে অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনারা আবেদন পত্র দেখিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে তারা হয়তো মানবিকতার দিক থেকে এবং official নিয়ম অনুযায়ী কিছুটা সহায়তা প্রদান করতে পারে এবং তারা যদি মনে করে এটা খুব দ্রুত করে দেবে তাহলে করে দিতে পারে। তাই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে হাতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় নিয়ে আবেদন করুন এবং সেই অনুযায়ী তথ্য সংশোধন করে নিন।