ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বানাবো

ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বানাবো এই প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন এবং এক্ষেত্রে আপনারা হয়তো দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড বাড়ানোর জন্য খুব তাড়াহুড়া করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হয়েছে এবং ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন করেছে এমন সকল ব্যক্তিদের অনেক তথ্য পেন্ডিং অবস্থায় থাকার কারণে আপনাদেরকে ধীরে শুতে অপেক্ষা করতে হবে।

এক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডের তাৎক্ষণিক অনলাইন আবেদন করার পর যদি এটা হাতে পাব বলে মনে করে থাকেন তাহলে বলব যে বিগত কয়েক বছরের আইডি কার্ড প্রদান করা এখনো পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে বলে আপনাদের কেউ অপেক্ষা করতে হবে। তবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন করার ছয় মাসের ভেতরেই আপনারা এটার পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আপনাদেরকে ধারণা প্রদান করা হলো।

কারো যদি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার প্রয়োজন হয় এবং এক্ষেত্রে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ হয় তাহলে আপনার এলাকায় কোন ব্যক্তির তথ্য নিবন্ধন করছে সে বিষয়টি আগে খোঁজ রাখুন। কারণ তাদের মাধ্যমে আপনারা যদি তথ্য নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আবেদন ফি ব্যতীত এটা করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হবে বলে এটা আপনাদের জন্য অনেক উপকারী হবে। আর যদি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাদেরকে ২৩০ টাকা চালান ফরম এর মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। তবে যাই হোক ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন বা আইডি কার্ড বানানোর জন্য আপনাদেরকে
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/‌ এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে বলব।

তাই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে আপনারা দুই নাম্বারে একটা অপশন দেখতে পারবেন এবং সেখানে নতুন তথ্য নিবন্ধনের জন্য যে দিকনির্দেশনা প্রদান করা আছে অথবা যে অপশন চালু করা আছে সেটার উপরে ক্লিক করলে আপনাদের আইডি কার্ড বানানোর জন্য তথ্য নিবন্ধন করার সুযোগ চলে আসবে।

আপনি যদি লেখাপড়া নাও করে থাকেন তারপরেও আপনার মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে এটা সর্বপ্রথম স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে নিবেন। তবে যাই হোক অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আপনাদের ইংরেজিতে নাম সেখানে প্রদান করতে হবে এবং জন্ম তারিখ প্রদান করে নিচে যে ক্যাপচা কোড দেওয়া আছে সেটা পূরণ করতে হবে।

এভাবে পরবর্তী পেজে যেতে পারলে আপনাদের খুব সহজেই মোবাইল নাম্বার প্রদান করার কথা বলা হবে এবং মোবাইল নাম্বার প্রদান করার পরে বার্তা পাঠান অপশনে ক্লিক করলে আপনাদের ফোনে ছয় ডিজিটের যে ওটিপি কোড আসবে সেটা ওয়েবসাইট লিপিবদ্ধ করতে হবে। তাই আপনারা সর্ব প্রথমে এই কাজগুলো করার জন্য সঠিক নিয়ম অনুসরণ করবেন এবং আপনার ফোনে ওটিপি কোড আসলে সেটা ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করার পর যে অসম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখা হবে সেখানে আপনাদেরকে ধাপে ধাপে তথ্য প্রদান করা লাগবে। বিশেষ করে আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ঘরে আপনাদের তথ্য নিবন্ধন করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে নিজেদের বিস্তারিত তথ্য ও পিতা মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে।

তারপরে আপনারা যখন মনে করবেন আপনাদের অন্যান্য তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন রয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। কারণ ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়াও সেখানে আপনারা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করবেন। অনলাইনের মাধ্যমে তথ্যগুলো প্রদান করার সময় অবশ্যই সঠিকতা অবলম্বন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আপনাদের তথ্য সংশোধনের আবেদন দ্বিতীয়বার না করতে হয়। তাছাড়া তথ্য সংশোধনের জন্য যে সকল ঘরে লাল চিহ্ন প্রদান করা আছে সেগুলো আপনারা সঠিকভাবে প্রদান করবেন এবং এগুলো প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এবং আবেদন ফিস প্রদান করার ফর্ম নিয়ে যদি উপজেলা সার্ভার স্টেশনে জমা দেন তাহলে আইডি কার্ড বানানোর প্রথম ধাপ সম্পন্ন করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button