জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আপনাদের যদি জরুরী ভিত্তিতে ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে হয়তো ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন এর মাধ্যমে থেকে বের করা যায় বলে এটা জেনে থাকবেন। তবে ভোটার আইডি কার্ড বের করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে অথবা বেশ কিছু তথ্য ইনপুট করতে হবে। তাই আপনি যদি সেই তথ্যকে কাজে লাগাতে চান অথবা তথ্য ইনপুট করার ক্ষেত্রে যদি মনে করে থাকেন জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যাবে
কিনা তাদের উদ্দেশ্যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেই তথ্যগুলো জানিয়ে দেব। অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং কোথায় তার ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে যদি আপনাদেরকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারি তাহলে অনেকেই এই তথ্য জেনে নিতে পারবেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হল।
প্রকৃতপক্ষে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত সার্ভিস এনআইডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। সেখানে ভিজিট করার পরে আপনাদেরকে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে ফরম পূরণ করার জন্য বেশ কয়েকটি পাকা ঘর চলে আসবে এবং সর্বপ্রথমে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার অথবা ভোটার ফরমের সিরিয়াল নম্বর প্রদান করতে বলবে। যদি আপনাদের কাছে এই দুই ধরনের তথ্যের ভেতরে কোন তথ্য না থাকে এবং আপনারা যদি মনে করে থাকেন জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে এটা করা যাবে কিনা তাহলে বলব যে কখনোই তা করা যাবেনা।
জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যাবে না এবং আপনার কাছে যদি কোন ভাবে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার সংগ্রহ থেকে থাকে তাহলে সেটা দিয়ে করা যাবে। আর যদি নতুন কেউ তথ্য নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে ভোটের ফরমের যে সিরিয়াল নাম্বার তা একটা স্লিপ এর মাধ্যমে প্রদান করেছিল বলে সেটা অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
তাই সেই সিরিয়াল নাম্বার আপনাদেরকে ব্যবহার করতে হবে এবং সেটা ব্যবহার করার পর জন্মতারিখ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। তবে সর্বপ্রথমে আপনারা এই কাজগুলো করার জন্য
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংক ব্যবহার করবেন। এই লিংক ব্যবহার করতে পারলেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনাদের প্রথমে যে তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে তা আমরা জানিয়ে দিয়েছি।
তাই প্রথম পেজে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং যে ক্যাপচা কোড প্রদান করা আছে সেটা পূরণ করার পর পরবর্তী পেজে যাবেন। আপনাদের তথ্য নিবন্ধন করার সময় যে স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করেছিলেন সেই স্থায়ী ঠিকানা বিভাগ থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রদান করতে হবে। এগুলো প্রদান করা হয়ে গেলে আপনারা পরবর্তী ধাপে যাবেন এবং পরবর্তী ধাপে গিয়ে যে মোবাইল নাম্বার দেখানো হচ্ছে সেটাতে বার্তা পাঠাতে হবে। বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে সেই মোবাইল নাম্বার চিনে নিতে হবে এবং সেই মোবাইল নাম্বার এসএমএস গেলে যদি তা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা থাকে তাহলে এই অপশন ব্যবহার করবেন।
তাই আপনারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করার পর এনআইডি ওয়ালেট ডাউনলোড করে যার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন তার মুখমন্ডল সনাক্তকরণ এর কাজ শেষ করবেন। ওয়েব সাইটে ফেরত এসে আপনাদেরকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে এবং এটার মাধ্যমে পরবর্তীতে আপনারা লগইন করতে পারবেন।
এভাবে যখন একটা প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন তখন নিজস্ব প্রোফাইলে প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনারা ডাউনলোড অপশন পাবেন এবং ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করলেই খুব সহজে এর আইডি কার্ড আপনাদের ফোনে ডাউনলোড হয়ে যাবে। তাই এই পোস্ট থেকে বোঝা গেল যে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে এনআইডি কার্ড বের করা যাবে না।