ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার সঠিক নিয়ম

যদিও ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার ব্যাপারে মানুষ সচেতন ভূমিকা পালন করে তারপরে অনেক সময় দেখা যায় যে পিতার নামের সঙ্গে অথবা অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে নামের অথবা তথ্যের গরমিল থাকে। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড আপনার একটি চূড়ান্ত পরিচয় পত্র সেহেতু এই পরিচয় পত্র ব্যবহার করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আপনার সার্টিফিকেট এর সঙ্গে এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সঙ্গে মিল আছে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে অথবা প্রত্যেকটা তথ্যের মিল থাকতে হবে।

কিন্তু কোনভাবে যদি দেখতে পান আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের অথবা আপনার সার্টিফিকেটের তথ্যের মিল নেই তাহলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।

তবে ভোটার আইডি কার্ডের প্রত্যেকটি তথ্য সংশোধন করার জন্য সঠিক নিয়ম আমরা অন্যান্য পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করলেও আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন কিভাবে করবেন অথবা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য ভুল হয়ে থাকলে কোন নিয়ম অনুসরণ করে এগুলো পরিবর্তন করতে হবে তা আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।

প্রধান কথা হলো ভোটার আইডি কার্ডের সমস্যা হলে এটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তাই এই সমস্যার ব্যাপারে অবহেলা না করে আপনারা যদি গুরুত্ব সহকারে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেন তাহলে আপনার অতিসত্বর কাজ হবে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করে নেওয়া।

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের এনআইডি সার্ভিস এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক হলো https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ । অর্থাৎ আপনারা এই লিংক ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন এবং এখানে আপনার তথ্যের পরিবর্তন করার জন্য অথবা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তন করার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি প্রোফাইল ওপেন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য যে ধাপ অনুসরণ করার নিয়ম রয়েছে সেই ধাপের সঙ্গে মিল রয়েছে প্রোফাইল ওপেন করার। আপনি যখন প্রোফাইল ওপেন করবেন এবং এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার ডাউনলোড করার মাধ্যমে আপনার মুখমন্ডল জাতীয় পরিচয় পত্রের সফটওয়্যার এর সামনে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখাবেন তখন এটা ভেরিফাইড করে আপনার প্রোফাইল ওপেন করার জন্য ওটিপি নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে এটি সম্ভব হবে।

যাইহোক প্রোফাইল ওপেন করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি প্রশ্নের আলাদা আলাদা তথ্য প্রদান করা আছে এবং এই তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে আপনারা আগে জেনে নিবেন কীভাবে এই তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে এবং কোথায় প্রদান করতে হবে। তবে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর প্রত্যেকটি কাজ বাংলায় অথবা সহজ ইংরেজিতে লেখা আছে বলে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদের কোনো ঝামেলা হবে বলে মনে করি না।

যাইহোক প্রোফাইল ওপেন করার পর আপনার যখন প্রোফাইলে প্রবেশ করবেন তখন উপরে ডানদিকে এডিট অপশন পেয়ে যাবেন। এখানে আপনার এডিট অপশনে যাওয়ার পরে ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যের তিনটি অপশন পেয়ে যাবেন। যেহেতু আপনি ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তন করতে চান অথবা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলার সৃষ্টি হচ্ছে সেহেতু ঠিকানা অপশনে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার এই তথ্য প্রদান করার জন্য যে সকল তথ্য প্রদান করা আছে সেই সকল তথ্য কেটে দিয়ে সঠিক তথ্য ইনপুট করতে হবে।

এভাবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য প্রদান করার জন্য আপনাদেরকে প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং সম্পন্ন করার পর আপনাদের এই তথ্য সংশোধন করার জন্য অথবা তথ্য যে পরিবর্তন করছেন তার প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্রের অথবা অন্যান্য ভেরিফাইড কপি অনলাইনের মাধ্যমে স্ক্যান করে অথবা নির্দিষ্ট রেজুলেশনে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এরপরে আপনাকে তথ্য সংশোধনের জন্য বিকাশ অথবা ডিবিবিএল এর মাধ্যমে 230 টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে আপনারা সফটওয়ারের মাধ্যমে অথবা নিজস্ব একাউন্টে প্রবেশ করে পে বিল নামক অপশনে প্রবেশকরে টাকা প্রদান করতে হবে।

টাকা প্রদান করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে আশা করি আপনারা জেনে নিতে পারবেন। টাকা পেমেন্ট করার পর আপনারা তাই স্ক্রিনশট দিয়ে রাখবেন এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যখন পেজটা রিলোড করবেন তখন দেখা যাবে যে আপনার একাউন্টে 230 টাকা সংযুক্ত হয়েছে এবং এভাবে আপনারা তথ্য পরিবর্তন করার জন্য যে আবেদন করলেন সে আবেদন এর পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আর এই ক্ষেত্রে আপনার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের অরিজিনাল কপি এবং আপনার ভুল তথ্য সমৃদ্ধ ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আপনাদের নিকটস্থ সার্ভার স্টেশন এ যোগাযোগ করলে তারা আপনার আবেদন গ্রহণ করবে এবং পরবর্তীতে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করবে।