ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত
যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা সঠিকভাবে জেনে নিতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করবেন। আপনাদের যদি কখনো ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে আবেদন ফি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
এক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নেওয়ার নামে কেউ যদি আপনাদেরকে অধিক টাকা প্রদান করতে বলে তাহলে অবশ্যই আপনারা অফিশিয়াল খরচের বাইরে কোন খরচ প্রদান করবেন না এবং ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাচ্ছে বলে নিজ উদ্যোগে আপনি এই আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন ফিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই পোস্টটি আমরা আলোচনা করব যাতে অনেকেই এ তথ্য জেনে নিয়ে আবেদন করতে পারেন।
করা হবে যদি বুঝতে পারেন ভোটার আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে তাহলে তা মারাত্মক ভুল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে আপনারাই ভুলের কারণে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই যখন বুঝতে পারবে ভোটার আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে তখন আর দেরি না করে খুব সহজেই আপনারা আইডি কার্ডের ভুল সংশোধনের আবেদন
করবেন। যদি এই ক্ষেত্রে আপনারা দীর্ঘসূত্রতার অবলম্বন করে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে তা আপনাদের জন্যই অনেক সময় ক্ষতির কারণ হিসেবে দাঁড়াবে। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিচিত ফুটে উঠে এবং ভোটাধিকার সুযোগ আমরা লাভ করতে পারি সেহেতু আমাদেরকে এটা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত কাজগুলো আমরা চাইলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে পারি। এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আমরা ভোটার আইডি কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিবন্ধন করার পাশাপাশি যখন আমরা একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারব তখন সেই একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সেখানে গিয়ে তথ্য সংশোধন করতে পারব। তবে আপনারা যেহেতু আগে থেকে আবেদন ফিস সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চেয়েছেন সেহেতু আপনাদেরকে এ বিষয়ে যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে অনেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ এমন পেমেন্ট করতে পারবেন এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন বলে কোন ধরনের ঝামেলা থাকবে না।
তাছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার নামে একপ্রকার অসাধু শ্রেণীর লোক অনেক সময় আপনাদের থেকে অধিক টাকা দাবি করে এবং এই ক্ষেত্রে আপনার অধিক টাকা প্রদান না করে সর্বনিম্ন ফি ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ 575 টাকার এর ওপরে প্রদান করবেন না। অর্থাৎ আপনারা উপরের উল্লেখিত লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে যখন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন সেখানে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন ফিস যাচাই করার জন্য উপরের যে মেনু অপশন রয়েছে সেখানে চলে যাবেন এবং সেখানে গেয়েই আপনারা এটা জাজি করে সঠিক সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ এটা আপনারা কোন প্রেক্ষিতে আবেদন করতে চাচ্ছেন এবং জরুরি আবেদন করতে যাচ্ছেন কিনা তার উপরে নির্ভর করে আবেদন ফিস নির্ধারণ করা হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাদের বেশি টাকা খরচ হবে না এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনাদের উভয় ধরনের আবেদন করা হয়ে থাকে বলে 345 টাকা আবেদন ফিশ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনারা আবেদন ফি ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে পারেন বলে কাউকে অধিক টাকা প্রদান করে সেটা নিজেদের লস এর কারণ করবেন না। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের এই আবেদন ফিস সংক্রান্ত তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন বলে এটা আপনাদের অনেক উপকারে আসলো এবং এক্ষেত্রে আপনারা নিজেরাই ঘরে বসে তথ্য সংশোধনের যাবতীয় কাজগুলো করতে পারবেন বলে খুব ভালো হবে।