ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমাদের ব্যক্তিগত পরিচয় পত্র হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কারো যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্যগত ভুল থেকে থাকে এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস এর সঙ্গে যদি তথ্যের মিল না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে এটা সংশোধন করার আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে বলে যে কেউ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে রাখতে পারবেন এবং আপনাদের আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করার ফলে কর্তৃপক্ষ সেটা গ্রহণ করে সংশোধন করে দিবে। আবেদন করার সময় যে মোবাইল নাম্বার আপনারা সংযুক্ত করেছিলেন সেই মোবাইল নাম্বার এসএমএস দিয়ে আপডেট দেওয়া হবে যে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্যর সংশোধন করা হয়েছে কিনা। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংশোধন করার সঠিক প্রক্রিয়া জানিয়ে দেবো এবং আশা করি এটা আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সংশোধন মূলক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক হল
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ । এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আপনারা তথ্য সংশোধন করার কোন সঠিক অপশন খুঁজে পাবেন না। কারণ সেখানে তথ্য সংশোধনের কোন অপশন না থাকার কারণে আপনাদের
যে এনআইডি কার্ড হাতে রয়েছে অথবা এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে চাইছেন সেটার নাম্বার ব্যবহার করে একটা অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রত্যেকটা এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে একটা করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বলে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার যে সকল ধাপ রয়েছে অথবা যে সকল তথ্য চেয়ে আপনাদের থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে বলবে সেগুলো প্রদান করে একাউন্ট তৈরি করে ফেলবেন।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে আরো কিছু কাজ করতে হবে যেগুলো আপনারা ধাপে ধাপে নিজেরা পড়লে বুঝতে পারবেন। যখন আপনাদের অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে তখন আপনারা নিজ একাউন্টে যদি লগইন অবস্থায় থাকেন তাহলে সেখানে তিন ধরনের তথ্য দেখানো হবে।
আপনার যে ধরনের তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো আপনাদেরকে নির্বাচন করতে হবে এবং নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই উপরের যে এডিট অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। কারণ এডিট অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে প্রত্যেকটি তথ্য দেখানো হলেও সেখানে পরবর্তীতে লেখার মতো অপশন চলে আসবে। এক্ষেত্রে আপনারা ভুল তথ্য কেটে দিয়ে সঠিক তথ্য ইনপুট করবেন এবং আপনাদের যে সকল তথ্য প্রয়োজন সেগুলো যুক্তিসঙ্গত ভাবে পরিবর্তন করুন।
পরবর্তী ধাপে গিয়ে আপনাদেরকে পেমেন্ট সংক্রান্ত কাজ করতে হবে। মূলত আপনি যে ধরনের আবেদন করতে চান সেই আবেদন করার জন্য কত টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সে টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনাদেরকে প্রদান করতে হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করার পরও এক সাইটে ফেরত এসে আপনারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন যে সেখানে টাকা ডিপোজিট হয়ে গিয়েছে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্টে প্রবেশ করে আপনাদেরকে পেমেন্ট অপশন নির্বাচন করতে হবে বলে এখানে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যার বুঝতে না পারলে আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখে জানালে আমরা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
এভাবে আপনারা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন এবং পেমেন্ট এর বিষয়গুলো শেষ করার পর যে তথ্য সংশোধন করছেন তার প্রেক্ষিতে কোন যুক্তি স্থাপন করতে চান সেটা ডকুমেন্টস হিসেবে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। প্রথমে সেই কাগজপত্রের নাম উল্লেখ করতে হবে এবং সাইডে যখন আপলোড অপশন চলে আসবে তখন আপলোড অপশনে গিয়ে আপনাদেরকে কাগজপত্র নির্দিষ্ট রেজুলেশনের ভেতরে আপলোড করে দিতে হবে।
এতক্ষণ যে আবেদন করে রাখলেন সেই আবেদনের সামারি আপনাদেরকে দেখানো হবে এবং এখান থেকে যদি বুঝতে পারেন কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি নেই তাহলে খুব সহজেই পরবর্তী ধাপে গিয়ে আপনাদের আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের আবেদন পত্র সাবমিট করে দিবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাবে।