ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড ২০২৩ কিভাবে পাবেন দেখে নিন

বর্তমান সময়ে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য যাবতীয় কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করা হচ্ছে বলে এটাকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড বলা হচ্ছে ‌। তাই আপনারা যদি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড বানাতে চান তাহলে এটার মাধ্যমে যেমন আপনার তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করা হয়ে গেল তেমনি ভাবে আপনারা এখন এটা সংগ্রহ করার পাশাপাশি পরবর্তীতে আরও অনেকবার এটা সংগ্রহ করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যগুলো অনলাইনের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আপনারা এগুলো বুঝতে পারলেন এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনার তথ্যগুলো কাগজের খাতায় লিপিবদ্ধ না করে নির্দিষ্ট একটি ওয়েব সাইটে লিপিবদ্ধ করতে পারলেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড কিভাবে তৈরি করবেন অথবা কোথায় গিয়ে আবেদন করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেব।

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড যেহেতু আপনারা তৈরি করবেন সেহেতু আপনাদেরকে এটা অবশ্যই ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি করতে হবে। বর্তমানে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড তৈরি করতে হলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হচ্ছে এবং আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিতে হচ্ছে। আবেদনকারীর বয়স যদি পাঁচ বছরের অধিক হয়ে থাকে তাহলে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেওয়ার জন্য ৫০ টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হচ্ছে। তবে আবেদন ফী এর পরিমাণ আসল বিষয় না হয়ে কিভাবে আবেদন করতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে তথ্য সংশোধন করতে না হয় সেটার দিকে আমাদেরকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রদান করা এই জন্ম নিবন্ধন সনদ যেহেতু আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে পরিচয় প্রদান করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু নামের ক্ষেত্রে অথবা অন্যান্য তথ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক অবলম্বন করতে হবে। তাই কেউ যদি জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কার্ড বানাতে চাই তাহলে তাকে অবশ্যই
https://bdris.gov.bd/br/application এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে এবং এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারলেই আপনারা আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। আবেদন করার ক্ষেত্রে কোন ঠিকানার ওপরে ভিত্তি করে আবেদন করবেন তা নির্বাচন করবেন এবং সেটা নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনাদেরকে পরবর্তী পেজে গিয়ে আবেদনকারীর যে সকল তথ্য যা হবে সেগুলো প্রদান করতে হবে।

যদি আবেদনকারী একজন শিশু হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তার টিকাকার্ড এবং তার বর্তমান ঠিকানার যে জমির খারিজের রশিদ আছে সেটা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনাদেরকে এটা আবেদন করতে বসতে হবে। পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে অবশ্যই যেন তথ্যগত মিল থাকে যাতে পরবর্তীতে পিতামাতার নাম পরিবর্তন করার অথবা অন্য কোন তথ্যের পরিবর্তন করার প্রয়োজন না হয়। অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য ইনপুট করার মাধ্যমে আপনারা যখন পিতা-মাতার তথ্য প্রদান করবেন অথবা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন তখন অবশ্যই প্রত্যেকটি তথ্যের সঠিকতা অবলম্বন করার চেষ্টা করবেন। আবেদন করার পর আবেদনের যে সামারি তৈরি হবে সেখানে দেখবেন যে আপনাদের কোন ভুল ভ্রান্তি আছে কিনা এবং কোন ধরনের ভুলভ্রান্তি না হয়ে থাকলে আবেদনপত্র সাবমিট করে দিবেন।

এতে করে আপনাদের ফোনে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি আসবে এবং সেই আবেদন পত্রটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে নিয়ে সেটার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি আপনারা স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিসে চলে যাবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে এগুলো জমা দিলে তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে দুই থেকে চার দিনের ভেতরে আপনাদেরকে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর এবং অন্যান্য কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ এটা প্রদান করবে। জন্ম নিবন্ধন সনদের দুই পৃষ্ঠায় দুই ধরনের তথ্য উল্লেখ থাকবে এবং এক পৃষ্ঠায় আপনার বাংলা তথ্য এবং অন্য পৃষ্ঠায় আপনার ইংরেজি তথ্য প্রদান করা থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button