জন্ম নিবন্ধন যাচাই 19860915428117351

বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটি ব্যক্তির আলাদা আলাদা পরিচয় পত্র তৈরি করার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার পেছনে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। সাধারণত আমাদের দেশে শূন্য থেকে 18 বছর বয়সী মানুষদের শিশু বলে গণ্য করা হয়। যখন 18 বছর পার হবে তখন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তা তৈরি করার জন্য নিবন্ধকের কার্যালয় গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু যতদিন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি হচ্ছে না ততদিন আমরা এখানে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাজ কর্ম পরিচালনা করতে হবে।

আপনি যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুলিপি প্রদান করা লাগবে। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রত্যেকটি ব্যক্তির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ এবং এটির মাধ্যমে প্রত্যেকটি ব্যক্তি নিজ নিজ পরিচয় বহন করে। এই জন্ম নিবন্ধন সনদ শিশুর জন্ম গ্রহণের পর এই তৈরি করে নেয়া উচিত। তবে অভিভাবকের যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি হয়ে না থাকে তাহলে সর্বপ্রথমে অভিভাবকের জন্য তা তৈরি করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

এখন আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা অনেকেই ভিজিট করেছেন যার প্রধান কারণ হলো জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম সম্পর্কে জানা। জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার জন্য তখনই প্রয়োজন হয় যখন আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এ কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি থেকে থাকে অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে মনের ভিতরে যে আকাঙ্ক্ষা থাকে সে কারণে। আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের যদি কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে তা অবশ্যই সংশোধন করতে হবে এবং এই সংশোধন করার জন্য আগে দেখতে হবে যে ওয়েবসাইটে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য লিপিবদ্ধ করা আছে কিনা।

যদি ওয়েব সাইটে সার্চ করে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য পেয়ে যান তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন এর যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।তাই অনেকেই জানেন না বলে আমাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এখানকার এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। তবে টাইটেলে আপনারা একটি নাম্বার দেখতে পাচ্ছেন এবং এই নাম্বার সম্পর্কে যাদের ধারনা নেই তাদেরকে বলে দিতে পারি যে এটি হলো জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নাম্বার।

এই জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার এর ভেতরে একজন ব্যক্তির জন্ম সাল তার এলাকার নাম্বার এবং ব্যক্তিগত পরিচয় নম্বর প্রদান করা আছে। এই স্বতন্ত্র নাম্বারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান করে খুব সহজেই চেনা যায় অথবা তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া যায়। আপনারা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেন না যে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার ক্ষেত্রে যে সনদের নাম্বার চাওয়া হয় সেই নাম্বার আসলে কি ধরনের হয়ে থাকে। জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার উপরে উল্লেখিত যে নাম্বার দেওয়া আছে সে রকম হয়ে থাকে।

তবে অনেকের জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার 16 ডিজিটের হয়ে থাকে অথবা 13 ডিজিটের হয়ে থাকে। তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নাম্বার যদি কম হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে তা ডিজিটালাইজড করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা স্থানীয় সরকার বিভাগ এ গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি 17 ডিজিটের হয়ে থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই এবং এক্ষেত্রে আপনি যাচাই করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করার জন্য আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনুসন্ধান লিখে সার্চ করার পাশাপাশি https://everify.bdris.gov.bd/ লিংকে প্রবেশ করলেও হবে। আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য যাচাই করার জন্য উপরে উল্লেখিত নাম্বারের অনুরোধ আপনার স্বতন্ত্র নাম্বার লাগবে এবং জন্মতারিখ লাগবে। সেই নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে দেওয়ার পরে আপনারা নিচে যাবেন এবং আরও কোন তথ্য চাওয়া হলে সেগুলো দিয়ে পূরণ করবেন। তারপরে সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার জন্ম নিবন্ধনের যাচাই করা তথ্য সেখানে প্রদর্শন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button