নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ও ডাউনলোড করার উপায় ২০২৩

আপনারা যারা নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করবেন তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারেন। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হচ্ছে এবং এই আবেদন পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করা লাগছে। আবেদনপত্র সহ আপনি যখন জন্ম নিবন্ধন সনদের বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিবেন তখন তারা আবেদন পত্র অনুযায়ী এটা প্রিন্ট আউট করবে এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সহ প্রদান করবেন। আর তখন আপনি সেই জন্ম নিবন্ধন সনদ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত পরিচিতি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। তাই যারা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই নিজের নিয়ম অনুসরণ করবেন এবং এভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশু থেকে শুরু করে যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এটি তৈরি করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন পত্রটি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে আবেদন করার 15 দিনের ভেতরে জমা দিতে হবে। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আপনারা আবেদন করার উদ্দেশ্যে যে ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন সেটার ঠিকানা হলো
https://bdris.gov.bd/br/application । এই ঠিকানাতে প্রবেশ করে আপনারা আবেদন করবেন এবং আবেদন করার জন্য জন্ম নিবন্ধনকারী ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করবেন নাকি জন্মস্থান প্রদান করবেন তা নির্বাচন করুন। তারপরে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য গুলো কিভাবে নিবন্ধন করতে হবে তা জানিয়ে দিচ্ছি।

পরবর্তী বেজে গিয়ে জন্ম নিবন্ধনকারী ব্যক্তির অবশ্যই ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। সর্ব প্রথমে নামের প্রথম অংশ বাংলায় লিখতে হবে এবং নামের শেষ অংশ বাংলায় লিখতে হবে। তবে আবেদন শুরু করার প্রথম দিকেই আমরা বলে নিতে চাই যে যেকোনো আবেদনের ক্ষেত্রে লাল ষ্টার চিহ্ন প্রদান করা আছে এমন সকল ঘরের তথ্য অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এরপরে যার জন্ম নিবন্ধন করবেন তার নামের প্রথম অংশ ইংরেজিতে এবং শেষ অংশ ইংরেজিতে লিখতে হবে। টিকা কার্ড অনুসরণ করে জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে এবং কোন ধরনের ভুল তথ্য প্রদান করলে সেটা পরবর্তীতে সংশোধন করার ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা হবে বলে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।

এরপরে পিতা মাতার কততম সন্তান এটা উল্লেখ করতে হবে। তারপরে আপনাদেরকে গিয়ে লিঙ্গ নির্বাচন করতে হবে। এই তথ্যগুলো প্রদান করা হয়ে গেলে জন্মস্থানের ঠিকানা প্রদান করা লাগবে এবং দেশ থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে যে সকল তথ্য রয়েছে সেগুলো প্রদান করতে হবে। যদি বাসা ও সড়ক নম্বর থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই প্রদান করবেন। পরবর্তী ধাপে গিয়ে পিতা এবং মাতার তথ্য প্রদান করা লাগবে এবং তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করা লাগবে। এভাবে তথ্যগুলো প্রদান করা শেষ হয়ে গেলে আপনারা এই তথ্যর সাপেক্ষে কোন প্রমাণপত্র আপলোড করতে চান তা নির্বাচন করবেন এবং সেই কাগজপত্র আপলোড করে দিবেন।

 

আপলোড করা শেষে এবং সকল ধরনের তথ্য নিবন্ধন করা শেষে আপনাদের সামনে যে আবেদন পত্রটি আসবে সেটাতে কোন ধরনের তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন আছে কিনা তা একবার যাচাই করে নিবেন। যদি সকল তথ্য ঠিকঠাক মত নিবন্ধন করা হয় তাহলে আবেদন পত্রটি দাখিল করবেন এবং আপনার আবেদন পত্রটি প্রিন্ট আউট করে নিবেন। আবেদন পত্রটি প্রিন্ট আউট করে নিয়ে তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে তা জমা দেন। যদি আবেদন ফি প্রদান করা লাগে তাহলে তাদের কাছে প্রদান করবেন। নতুন জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে তথ্যগত সকল বিষয় সঠিক থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তা তৈরি করা হয়ে থাকে এবং দুই থেকে চার দিনের ভেতরে আপনারা জন্ম নিবন্ধন হাতে পেয়ে যাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button