আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সেই তথ্য সংশোধনের উদ্দেশ্যে জোরালো যুক্তি কাগজের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে উপস্থাপন করতে হবে। অতীতে তথ্য নিবন্ধন করেছেন এমন অনেক ব্যক্তির তথ্যের বিভিন্ন ধরনের গরম মিল থাকার কারণে বর্তমান সময়ে আইডি কার্ড সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ছে।

সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আইডি কার্ডের যথার্থতা অবলম্বন করতে হবে এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের সঙ্গে অবশ্যই প্রত্যেকটি তথ্যের মিল থাকতে হবে। তাই আপনারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আইডি কার্ডে ভুল লক্ষ্য করতে পারলে অবশ্যই সেটা সংশোধন করার জন্য নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করবেন। কিভাবে আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে হয় তা আমরা আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেব।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে থাকলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং এর স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে পারেনা বলে তথ্য সংশোধন করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া তথ্য নিবন্ধন করার সময় এমন কিছু ব্যক্তিদের কাছে এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ না বলে কোন রকম ভাবে তথ্য লিপিবদ্ধ করে তারা তাদের কাজ শেষ করেছে। কিন্তু এখন যারা আইডি কার্ডের মালিক তারা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী হয়ে এই বিষয়গুলো মেনে নিচ্ছে। তবে নামের বানান থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের ভুলের ক্ষেত্রে অথবা বড় বড় ভুলের ক্ষেত্রে আপনি যদি যুক্তিসঙ্গত কাগজপত্র না দেখাতে পারেন তাহলে আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করাটা আপনার জন্য অনেক ঝামেলার একটা ব্যাপার হবে।

তাই নামের বানান সংশোধন করার ক্ষেত্রে অথবা অন্যান্য কোন তথ্য সংশোধন করার ক্ষেত্রে পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড থেকে শুরু করে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্রের জোরালো যুক্তি ওয়েবসাইটে কিভাবে আবেদন করার ভিত্তিতে উপস্থাপন করবেন তা জেনে নিন। আবেদন করার জন্য আমরা আপনাদেরকে বর্তমান সময়ে সার্ভিস এনআইডি নামক যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল ধরনের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে তার লিংক প্রদান করলাম। অর্থাৎ তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করার উদ্দেশ্যে আপনারা https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার আবেদন সম্পন্ন করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং অন্য কিছু তথ্য প্রদান করে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

তাই উপরের উল্লেখিত লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা যখন অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন তখন সেখানে গিয়ে আপনাকে আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য এডিট অপশনে যেতে হবে। আপনি যদি সেখানে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন না করেন তাহলে আপনার প্রোফাইল উন্মুক্ত হবে না। প্রোফাইলে প্রবেশ না করতে পারলে আপনি এডিট অপশন খুঁজে পাবেন না এবং সেখানে সেই তথ্য খুঁজে পাবেন না বলে আবেদন করা হবে না। এডিট অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাদেরকে আবেদন ফিস যাচাই করার তথ্য যাচাই করতে বলা হবে এবং সেটি আপনি যাচাই করে দেখার পরে পরবর্তী পেজে গিয়ে কোন কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তার ঘরে গিয়ে তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করুন।

আবেদনপত্রের ফিস যাচাই করার ক্ষেত্রে যত টাকা আপনাদেরকে দেখানো হয়েছে ঠিক তত টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট অপশনে গিয়ে পেমেন্ট করতে হবে। তারপরে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার এই আবেদনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র আপনি ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে পারবেন তা দেখিয়ে দেবেন এবং এগুলো দেখানো হয়ে গেলে আপনারা আবেদন পত্রটি সাবমিট করে দিতে পারেন। তবে বাড়তি ঝামেলা হিসেবে আপনাকে যে এটা নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে এমন বিষয়টা আর চালু নেই। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে মোবাইল ফোনে আইডি কার্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আপডেট পেয়ে যেতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button