ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম

কোন একজন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করার পর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অন্যান্য এলাকায় গিয়ে বসবাস করা শুরু করেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য ট্রান্সফার করে নিতে হবে। যেহেতু আপনি আজীবনের জন্য নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বাড়ি অথবা জমি কিনে বাড়ি করেছেন তাহলে অবশ্যই আপনারা সেখানকার ভোটাধিকার লাভ করলে সেখানকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনারা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ট্রান্সফার করে নিলেই আপনাদের ঠিকানা পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং আপনারা বর্তমানে যে জায়গায় বসবাস করছেন সে জায়গার উপরে নির্ভর করে প্রত্যেক বছর অথবা নির্দিষ্ট সময় পরপর ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তাই ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ট্রান্সফার করবেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা এখানে সেই তথ্য জানিয়ে দিলাম।

বর্তমান সময়ে ভোটার আইডি কার্ডের যেকোনো ধরনের আবেদন হাতে লিখে অফলাইনের মাধ্যমে প্রদান না করে অনলাইন এর মাধ্যমে করলেই এগুলো সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাই ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের তথ্যের জন্য আপনারা নিয়মিতভাবে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন এবং আমরাও আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা প্রদান করছি।

তাই আপনি কোন একটা জেলায় বসবাস করতে করতে হঠাৎ যদি অন্য কোন এলাকায় এগিয়ে জমি কেনে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন তাহলে আপনাকে সেখানকার ভোটাধিকার অর্জন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনার আইডি কার্ডের তথ্য এক জায়গায় নিবন্ধন হয়ে থাকলেও আপনারা সেই তথ্য ট্রান্সফার করে নিয়ে আসতে পারবেন।

তাই বর্তমান সময়ে সার্ভিস এনআইডি নামক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আমাদেরকে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে তাতে করে আমরা ঘরে বসে যে কোন ধরনের আবেদন করে সাবমিট করতে পারছি। তাই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ট্রান্সফার করার জন্য আপনাদেরকে

https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে বলব এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারলে আপনারা সেখান থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন। তবে তথ্য ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে এখানে আপনারা সকল ধরনের অপশন না পেয়ে থাকলেও সরাসরি আপনাদেরকে একাউন্ট রেজিস্টেশন করতে হবে এবং বর্তমানে এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় যে সকল ধাপ অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে সেগুলো করার মধ্য দিয়ে আপনারা একটা অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পরে আপনাদেরকে সেখানে লগইন করতে হবে অথবা লগইন অবস্থায় থেকে থাকলে সেখানে তিন ধরনের তথ্য দেখানো হবে বলে আপনারা সরাসরি ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য চলে যাবেন। সেখানে আপনাদের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী

ঠিকানা হিসেবে যেগুলো প্রদান করা আছে সেগুলো আপনারা যদি পুরোপুরি ভাবে পরিবর্তন করতে চান তাহলে উপরের কোনার দিকে যে এডিট অপশন রয়েছে সেখানে যাবেন। এডিট অপশনে যাওয়ার পর খুব সহজেই আপনাদের তথ্যগুলো এডিট করে দিবেন এবং এক্ষেত্রে আপনারা বিভাগ থেকে শুরু করে অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য অনুযায়ী যে সকল তথ্য সংশোধন করা প্রয়োজন সেগুলো সংশোধন করে দিবেন।

তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা এই আবেদনপত্র সাবমিট করার কারণে আপনাদেরকে আবেদন ফিস প্রদান করতে হবে। কারণ আপনি যে নতুন ভোটার আইডি কার্ডে এই কাজগুলো করবেন সেই নতুন ভোটার আইডি কার্ড আপনাকে নতুনভাবে প্রদান করা হবে বলে তার জন্য অফিসিয়াল ভাবে একটা নির্দিষ্ট খরচ রয়েছে।

এক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট এলাকায় যখন বসবাস করা শুরু করবেন এবং নির্দিষ্ট এলাকার ভিত্তিতে যখন তথ্য সংশোধন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সেই এলাকায় নির্দিষ্ট সময় ধরে বসবাস করতে হবে। তাই ঘরে বসে ভোটার আইডির মাধ্যমে আপনারা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন এবং এভাবে আপনারা ট্রান্সফারের নিয়ম গুলো জেনে নিতে পারবেন বলে কার্যকরী উপায়ে অধিক টাকা খরচ করার পরিবর্তে নিজেরাই এগুলোর আবেদন করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button